অবশেষে বন্ধ করে দেওয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা একটি অপতথ্য বিশ্লেষক সংস্থা। বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া অপতথ্য শনাক্ত ও বিশ্লেষণের দায়িত্ব ছিল যাদের কাঁধে, এখন তারাই বন্ধ হয়ে গেল মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের অভিযোগে।
রয়টার্সের খবরে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও নিজেই এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন।
তার ভাষায়, "এ ধরনের সংস্থার আর কোনো প্রয়োজন নেই। সাধারণ মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছিল তারা।"
রুবিও আরও জানান, সংস্থাটি প্রতি বছর ৫০ মিলিয়ন ডলারের বেশি খরচ করতো—কিন্তু তা গিয়ে লাগতো মতপ্রকাশের অধিকার ক্ষুণ্ন করার কাজেই।
মূলত রাশিয়া ও চীনকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া অপতথ্য চিহ্নিত করার লক্ষ্যেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এই সংস্থাটি। তবে বাস্তবে তাদের কাজ রক্ষণশীল মিডিয়ার খবরের বিরুদ্ধে অবস্থান এবং প্রচলিত মতের বিপরীতে থাকা কণ্ঠরোধের চেষ্টার অভিযোগে বারবার বিতর্কের জন্ম দেয়।
বিশেষ করে রিপাবলিকানদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ ছিল সংস্থাটি নিয়ে। শেষ পর্যন্ত সেই চাপই হয়তো কাজ করলো।
সিদ্ধান্ত এসেছে স্পষ্টভাবে—যুক্তরাষ্ট্র এখন মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় আরও উন্মুক্ত, অন্তত সরকারি পর্যায় থেকে।